বিভাগগুলি

দেশের বিজ্ঞান গবেষণা—বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

FRÉDÉRIC SOLTAN/CORBIS VIA GETTY IMAGES


শ্যামল ভদ্র

এ বছরের (2018 সাল) বিজ্ঞান কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হল মণিপুরের ইম্ফল শহরে। মণিপুর ইউনিভার্সিটি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রদত্ত ভাষণে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশন (ISRO), ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং সি এস আই আর (CSIR) সহ বেশ কিছু বিজ্ঞান ও কারিগরি সংস্থার সাফল্যের নমুনা তুলে ধরেন। এছাড়াও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের লেজার ইন্টারফেরোমিটার ওয়েভ অবজার্ভেটরি (LIGO) প্রজেক্টে অংশগ্রহণ বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা যা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ভীষণ গুরুত্ব পেয়েছে। এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য ছিল অতি সূক্ষ গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভের অস্তিত্বকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা। উল্লেখ্য গত বছর তিন বিশিষ্ট বিদেশি বিজ্ঞানীকে এই প্রজেক্টে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিজ্ঞানীদের বিশেষভাবে উদ্যোগী হতে বলেন যাতে তাঁদের সাফল্য সমাজের নীচু স্তর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। স্বভাবতই সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমরা সকলে এবিষয়ে একমত। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি অন্যরকম। বিজ্ঞান, করিগরি, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা গবেষণায় আমাদের বেশিরভাগ কাজ এবং সাফল্য বিদেশি প্রযুক্তি ও যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা ও তার যথাযথ প্রয়োগে যথেষ্ট নিষ্ঠার অভাব।

এ বছরে সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা এবং প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশের একশো পঁচিশতম জন্মবার্ষিকী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মকে এইসব কৃতী বিজ্ঞানীদের অবদান সম্পর্কে অবহিত করা বিশেষ জরুরি। কারণ পরাধীন দেশে কোনো প্রতিকূলতাই ওঁদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম পঞ্চাশ বছরে বিজ্ঞানের অগ্রগতি মূলত মৌলিক বিজ্ঞান গবেষণায় এবং পরবর্তী পঞ্চাশ বছরে ফলিত বিজ্ঞানের দ্রুত অগ্রগতি সমাজ ও জীবনযাত্রার মান অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে। এই দুই অর্ধশতকের সন্ধিক্ষণে আমাদের স্বাধীনতা লাভ এক প্রবল বঞ্চনার মধ্য দিয়ে। তথাপি স্বাধীনতা উত্তর পর্বে বেশ কিছু বিজ্ঞান ও কারিগরি গবেষণা সংস্থার প্রতিষ্ঠা তৎসহ শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (IIT) এবং কিছু কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উন্নত শিক্ষার পরিবেশ। তৈরি করতে বিশেষ সহায়ক হয়। কিন্তু ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার অগ্রাধিকার সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে। ফলত সুসংহত সমাজ উন্নয়নে দেশীয় বিজ্ঞানের উৎকর্ষকে কাজে লাগানো যায়নি। আমরা ক্রমশই পিছিয়ে পড়েছি। অন্যদিকে বিদেশি সহজলভ্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।

ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও টেকনোলজি পলিসি 2003 সালের পর নতুন করে বিজ্ঞান, টেকনোলজি ও ইনোভেশন পলিসি 2013 সালে কলকাতায় শততম বিজ্ঞান কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়। লক্ষণীয় ইনোভেশন কথাটা যুক্ত হয়েছে নতুন পলিসিতে। এই পলিসি অনুসারে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে লব্ধ ফলকে অর্থাৎ বিজ্ঞানচর্চা ও তার সঠিক প্রয়োগের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতি নির্ধারণে প্রযুক্তি গবেষণা ও তার প্রয়োগকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মৌলিক গবেষণার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণায় বিশেষ সাফল্য লাভ করলেও অনেকাংশেই এই সংস্থাগুলি বিদেশি প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি আমরা জেনেছি যে প্রতিরক্ষা বিশেষ করে বায়ুসেনার সরঞ্জামের 75 শতাংশই সাবেকি আমলের। কারণ অর্থ এবং সংশ্লিষ্ট দেশীয় প্রযুক্তির অভাব। তাহলে প্রযুক্তির উন্নতিতে আমরা কতটা এগোলাম তা সহজেই অনুমেয়। আমরা এখনও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারিনি, যার পরিণতি অসংখ্য মেধাবী ছাত্রছাত্রী বিদেশে চলে যাচ্ছে- খুব কম সংখ্যকই দেশে ফিরে আসছে যতই আমরা রিভার্স ব্রেন ড্রেন -এর কথা বলি না কেন। এ সত্ত্বেও বেশকিছু সংখ্যক মেধাবী ছাত্রছাত্রী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং IIT থেকে পড়াশোনা শুরু করে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থায় কাজ করছে ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য। পরবর্তী পর্যায়ে এইসব কৃতী ছাত্রছাত্রীদের বেশকিছু সংখ্যক পোস্ট-ডক্টরেট করার জন্য বিদেশে যান, কারণ দেশে প্রয়োজনীয় উন্নত উপযুক্ত গবেষণার অবকাঠামোর অভাব। তাই দরকার প্রয়োজনভিত্তিক গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করা, আরও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য উন্নত সুযোগের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সংস্থায় তাদের নিয়োগ করা। প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রেই একমাত্র যোগ্যতাই চূড়ান্ত পর্যায়ে বিবেচিত হবে।

দেশের বেশ কিছু গবেষণাগারে উচ্চমানের কাজকর্ম হচ্ছে ঠিকই, সেখানেও যোগ্য গবেষকের অভাব প্রকট। LIGO প্রজেক্টের মতো কাজকে যেমন উৎসাহ দিতে হবে তেমনি অন্যান্য বিষয়ের উপরও সমান গুরুত্ব দিতে হবে যাতে বেশি সংখ্যায় মেধাবী ছাত্রছাত্রী গবেষণায় আকৃষ্ট হয়। একই সাথে প্রযুক্তি গবেষণার উপকাঠামোকে উন্নত করতে হবে দেশের প্রয়োজনের সাথে তাল মিলিয়ে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে বিজ্ঞান ও কারিগরি বিষয়ে সবথেকে বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী স্নাতক স্তরে ডিগ্রি পায় কিন্তু প্রতি বছর Ph.D-র সংখ্যা মাত্র 13000-এর কিছু বেশি যা আমেরিকা এবং চিনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (আনন্দবাজার 26.1.2018)। আবার এদের বেশকিছু সংখ্যকই বিদেশে চলে যায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ নিয়ে। দেশের ভেতর পোস্ট ডক্টরাল পাওয়াটা বেশ কঠিন যদিও গত বছর কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর সাময়িকভাবে এই নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। IIT, বিশ্ববিদ্যালয়ে, কলেজে এবং অন্যান্য গবেষণা সংস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে 2-3 বছর গবেষণা বা গবেষণা পরিচালনায় অভিজ্ঞতা দরকার হয়। ডক্টরেট ছাত্রছাত্রীদের এই সংখ্যাটা খুবই কম। তাই দক্ষ শিক্ষকের অভাব বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আমাদের মেধাবী ছাত্রছাত্রীর অভাব নেই কিন্তু প্রয়োজনীয় সুযোগ ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন যথেষ্ট পরিকল্পনার নিরিখে, যাতে যোগ্য শিক্ষকের অভাব পূরণ করা যায়। বর্তমানে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও মান অনুযায়ী বিজ্ঞানীদের নিয়োগ করাটা বেশ কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ভবিষ্যতে শিক্ষক ও বিজ্ঞানীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তত 40-50% পদ সংরক্ষিত অথবা অগ্রাধিকার দেওয়া যাতে দেশীয় অভিজ্ঞ যোগ্য ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকতা ও গবেষণার সুযোগ পায়। বর্তমানে আমরা দেখছি IIT থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা সংস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে মূলত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বিদেশে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি প্রাপ্তদের। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে এদের অনেকেই পরবর্তী পর্যায়ে বিশেষ সাফল্য পায়নি শিক্ষকতায় বা গবেষণায়। দেশীয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য যদি উল্লিখিত অগ্রাধিকার দেওয়া যায় তবে দেশের ভেতরে গবেষণার জন্য উৎসাহ বাড়বে। চিত্রটা খানিকটা হলেও পাল্টাবে। আমার বিশ্বাস বর্তমানের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক বেশি মেধাবী, পরিশ্রমী এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধ। অন্যান্য দেশের তুলনায় এদের সংখ্যা আমাদের দেশে অনেক বেশি। সুতরাং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আশু প্রয়োজন এদের সঠিক কাজে নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ তৈরি করা।

এ বিষয়ে দেশের তিনটি অ্যাকাডেমি – ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস (IASc), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস (INASc) এবং ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস অব ইন্ডিয়া (NASI) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে নীতি নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ইনোভেশন পলিসির সাথে তাল মিলিয়ে সমস্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের উচিত একটি জাতীয় নীতির পরিকল্পনা করা। এ বিষয়ে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করা যেতে পারে। বর্তমানে ক্ষেত্রবিশেষে কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। গত বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর বিভিন্ন চালু প্রজেক্টের বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে অর্থের অভাবে। ফলতঃ শিক্ষক, গবেষক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা গবেষণার কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রে প্রত্যেক বছর প্রয়োজনীয় অনুদান পেতে সময় লাগে, ফলতঃ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজের অগ্রগতি হয় না—দেখা যায় প্রজেক্টের মূল উদ্দেশ্যই সেখানে ব্যর্থ। অন্যদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের অধীন বেশ কিছু স্বশাসিত গবেষণা সংস্থায় অধ্যাপক ও বিজ্ঞানীরা এখনও সপ্তম পে কমিশনের সুবিধে পাননি কারণ বর্ধিত বেতনের 30% সংস্থাগুলিকে সংগ্রহ করতে হবে। অথচ বেশিরভাগ সংস্থাই উন্নত মানের কাজ করে চলেছে। যার ফলে অধ্যাপক এবং বিজ্ঞানীদের চাপা ক্ষোভ কাজের মধ্যেও প্রতিফলিত হচ্ছে। যার ফলে অধ্যাপক এবং বিজ্ঞানীদের চাপা ক্ষোভ কাজের মধ্যেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এই বিভেদ ও বৈষম্য দ্রুত সমাধান করা জরুরি। সম্প্রতি বসু বিজ্ঞান মন্দিরের শতবর্ষ উদ্যাপনের শেষ দিনে ভারতরত্ন অধ্যাপক সি এন আর রাও বলেছেন—বিজ্ঞান গবেষণায় আমাদের দেশে অর্থ বরাদ্দ বেশ কম এবং বিজ্ঞানীদের এক ভয়ের আবহে কাজ করতে হচ্ছে। গত চল্লিশ বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে চিনের অগ্রগতি বিস্ময়কর বলে তিনি মন্তব্য করেন। চিন ও আমেরিকার সাথে তুলনা করে হয়তো লাভ নেই। কিন্তু আমাদের সীমিত ক্ষমতায় যোগ্য মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে অন্তত দেশের উন্নয়নের জন্য গবেষণা লব্ধ জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কিছুটা হলেও কাজে লাগানো যেতে পারে। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক ওয়াল্টার কোন বেশ কিছুদিন আগে কলকাতায় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব্ সায়েন্স-এ প্রথম চঞ্চল মজুমদার স্মারক বক্তৃতায় বলেছিলেন—ভারতীয়দের সমস্যা হল নিজেদের কাজের প্রতি তাঁদের আস্থা নেই, অথচ আমরা বিদেশীরা ভারতীয়দের গবেষণায় আস্থাশীল। তাই আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের সদর্থক ভূমিকা পালন করতে হবে বৈকি! গত বছর 9 আগস্ট মার্চ ফর সায়েন্স-এ সারা দেশ জুড়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী, গবেষক এবং শিক্ষক স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে—প্রধানমন্ত্রীকে প্রেরিত স্মারকলিপিতে তাঁদের প্রধান দাবি ছিল গবেষণার বরাদ্দ বৃদ্ধি। অথচ এ বছরের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ সেভাবে বাড়েনি। নতুন পরিকল্পনার কথাও শোনা যায়নি। যেহেতু কর্পোরেট সংস্থাগুলি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় এগিয়ে আসছে না, তাই সরকারের তরকে মৌলিক গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি এবং চাই সুনির্দিষ্ট জাতীয় পরিকল্পনা ও তার সুষ্ঠু প্রয়োগ।

লেখক পরিচিতি: অধ্যাপক ভদ্র IACS-এর Emeritus প্রফেসর।

দেশের বিজ্ঞান গবেষণা—বর্তমান ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক এই প্রবন্ধটি ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি প্রকাশিত ‘প্রকৃতি’ পত্রিকার চতুর্দশ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা, ডিসেম্বর 2018 থেকে নেওয়া।